দখিনের খবর ডেস্ক ॥ করোনাভাইরাসে গোটা বিশ্ব যখন বিপর্যন্ত, তখন দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের অগ্নিপরীক্ষায় অর্থমন্ত্রী আ. হ. ম. মুস্তফা কামাল। এ পরীক্ষায় জয়ী হওয়ার কৌশল হিসেবে তিনি আগামী বছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয় বাজেট অধিবেশন। এর পরপরই অর্থমন্ত্রী তার বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন। এর আগে বেলা ১২টায় সংসদ ভবনেই শুরু হওয়া মন্ত্রিপরিষদ সভায় বাজেটের অনুমোদন নেয়া হয়।
আগামী অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। যা জিডিপির ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ। বাজেট বক্তৃতার শিরোনাম ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। টাকার অংকে যা ৬৬ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা বেশি। চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হলেও পরবর্তীতে সংশোধিত বাজেটে এর আকার দাঁড়ায় ৫ লাখ ১ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা। বাজেট প্রস্তাবনায় পরিচালনসহ অন্যান্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।
এবার আয়-ব্যয়ের সমন্বয় করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি বেগ পেতে হয়েছে অর্থমন্ত্রীকে। শেষ পর্যন্ত বাজেট ঘাটতিও ইতিহাসে সর্বোচ্চ ধরা হয়েছে। মোট বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে এটি ৫ শতাংশ ধরা হতো। টাকার অংকে যা ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এর ঘাটতি পুরণে সরকার বৈদিশিক ঋণ নিতে চায় ৮০ হাজার ১৭ কোটি টাকা, এছাড়া অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে ৮৪ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্রেে থ ২০ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে ঋণ নিতে চায় ৫ হাজার কোটি টাকা।
Leave a Reply